অ্যারোমরটিক রাইস তুলশীমালা :
সুগন্ধি চাল হিসেবে তুলশীমালা ভোজনরসিকদের কাজে অত্যন্ত প্রিয়। এ চালের মোহনীয় ঘ্রাণে পাগল হতে বাধ্য যে কোন ভোজনবিলাসী। ভোজনরসিকদের কাছে এ চাল দারুণ জনপ্রিয় হলেও, এটি দেশের সর্বত্র সহজলভ্য নয়। এটির উৎপাদন শুধুমাত্র শেরপুর জেলাতেই হয়ে থাকে। এর অন্যতম কারণ শেরপুর জেলার পরিবেশ, আবহাওয়া, মাটির প্রকৃতি, বৃষ্টিপাত ও অন্যান্য নিয়ামক যা তুলশীমালা ধান উৎপানে সহায়তা করে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তুলশীমালা ধানের চাষ সম্ভব হলেও এর ফলন ও সুগন্ধের হ্রাস পায়। কারণ শেরপুর জেলার অনন্য ভৌগোলিক বেশিষ্ট্যই এ ধান উৎপাদনের অন্যতম সহায়ক। শেরপুর জেলার উত্তর দিকে রয়েছে গাড়ো পাহার এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ। পাহাড়ি ঢল ও নদীবাহিত পলি শেরপুর মাটিকে করেছে অত্যন্ত উর্বর ও তুলশীমালা ধান চাষের উপযোগী।
আর এ কারণেই শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী তুলশীমালা চালের স্বীকৃতি মিলেছে জিআই পণ্য হিসেবে।
তুলশীমালা চাউল সুগন্ধি, চিকন ও সুস্বাদু। পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, খিচুড়ি, ভাত, পিঠা, ফ্রাইড রাইসসহ বিভিন্ন মুখোরোচক খাবার তৈরিতে বিশেষ উপযোগী এ চাল।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা প্রজাতির সুগন্ধি ধানের চাল উৎপাদিত হলেও শেরপুরের সুগন্ধি তুলশীমালা চাল গুনে, মানে ও সুগন্ধে অত্যন্ত চমৎকার। অন্যান্য সুগন্ধি চালের সাথে এ চালে বিশেষ পার্থক্য হলো এ চালের খাবার খেলে হজম ও গ্যাস্টিকজনিত কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় না। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় এবং উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন তুলসীমালা চাল প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় খনিজসমৃদ্ধ। এজন্যই ভোজনরসিকদের খাবরের তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে তুলশীমালা চালের পোলাও, বিরিয়ানি, ফিরনি-পায়েস, পিঠাসহ নানা খাবার
Reviews
There are no reviews yet.